ডায়াবেটিস-এর অর্থ হচ্ছে আপনার রক্তে অত্যধিক বেশি শর্করা (চিনি) আছে। রক্তে উচ্চ শর্করার সমস্যা শুরু হয় যখন আপনার শরীর যথেষ্ট পরিমাণে একটা রাসায়নিক, অথবা হরমোন, যাকে ইনসুলিন বলা হয়, তা আর তৈরি করতে পারেনা।
আপনি যে খাবার খান তার বেশির ভাগই আপনার শরীর এক ধরণের শর্করায় পরিবর্তন করে যাকে বলা হয় গ্লুকোজ (শর্করা)।
এই শর্করা আপনার রক্তে চলাচল করে আপনার শরীরের সমস্ত কোষে যায়। আপনাকে শক্তি দেবার জন্য আপনার শরীরের কোষগুলির প্রয়োজন শর্করা।
ইন্সুলিন আপনার রক্ত থেকে আপনার কোষগুলিতে শর্করাকে চালান করতে সাহায্য করে। ইন্সুলিন ছাড়া, আপনাকে চনমনে রাখতে আপনার কোষগুলির যে শর্করার প্রয়োজন হয় তা সেগুলো পেতে পারেনা।
আপনার রক্ত থেকে আপনার শরীরের কোষগুলিতে শর্করা চালান করে, ইন্সুলিন আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে (খুব বেশি নয়; খুব কমও নয়)।
যখন আপনার রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা হ্রাস করার জন্য যথেষ্ট ইন্সুলিন থাকেনা তার অর্থ আপনার ডায়াবেটিস আছে।
রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা হতে পারে, এবং অবশ্যই, চিকিৎসা করতে হবে।
আপনার শরীর আদৌ ইন্সুলিন তৈরি করতে পারেনা
আপনার শরীর যথেষ্ট ইন্সুলিন তৈরি করেনা, অথবা যে ইন্সুলিন শরীর তৈরি করে তা সঠিকভাবে কাজ করেনা।
আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা খুব চড়া থাকে এবং আপনার রক্ত থেকে আপনার কোষগুলিতে শর্করা চালান করবার মত যথেষ্ট পরিমাণে ইন্সুলিন থাকেনা।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসে, শরীর কিছু ইনসুলিন তৈরি করতে পারে, কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়।
অথবা যে ইনসুলিন শরীর তৈরি করে, তা সঠিকভাবে কাজ করেনা।
টাইপ 2 ডায়াবেটিস বেশির ভাগ সময়ই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শুরু হয়, কিন্তু শিশুদেরও হতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত ওজনের মানুষদের অথবা যদি পরিবারে কারোর ডায়াবেটিস থাকে তাঁদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের কয়েকটি ঝুঁকির ব্যাপার যুক্ত আছে যার অন্তর্ভুক্তঃ
যখন আপনার ডায়াবেটিস থাকে, অতিরিক্ত শর্করা (গ্লুকোজ) আপনার রক্তে তৈরি হয়।
কিডনিগুলি অতিরিক্ত শর্করা পরিস্রুত করতে এবং শুষে নিতে উপরি পরিশ্রম করতে বাধ্য হয় যা বর্ধিত মূত্রত্যাগ করার দিকে চালিত করে।
ঘন ঘন মূত্রত্যাগের মাধ্যমে যখন আপনি শর্করা খোয়ান, তখন আপনি ক্যালোরিও হারান।
ই সময়ে, আপনার খাবার থেকে পাওয়া শর্করা আপনার কোষগুলোতে পৌঁছানো থেকে ডায়াবেটিস আটকে রাখতে পারে – যা অনবরত খিদে পাওয়ার দিকে চালিত করে।
লিত প্রভাব হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুত ওজন হ্রাস।
অতিরিক্ত জল পিপাসা (যাকে পলিডিপসিয়াও বলা হয়) হ’ল ডায়াবেটিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ।
যখন আপনার ডায়াবেটিস থাকে, অতিরিক্ত শর্করা (গ্লুকোজ) আপনার রক্তে তৈরি হয়।
আপনার কিডনিগুলি অতিরিক্ত শর্করা পরিস্রুত করতে এবং শুষে নিতে উপরি পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়।
যদি আপনার কিডনিগুলো চালাতে না পারে, অতিরিক্ত শর্করা আপনার প্রস্রাবের মধ্যে নিঃসৃত (বার হওয়া) হয়, যা আপনার টিস্যুগুলো (শরীরের মধ্যে থাকা এক গুচ্ছ কোষ) থেকে জলীয় পদার্থ একই সঙ্গে টেনে আনে।
এটা আরও বেশি ঘন ঘন প্রস্রাব ঘটায়, যা আপনাকে জলশূন্য করে দিতে পারে।
যখন আপনি বেশি করে জলীয় পদার্থ পান করেন জলপিপাসা নিবারণ করার জন্য, তখন আপনি আরও বেশি করে মূত্রত্যাগ করতে থাকবেন।
আপনি অবসন্ন বোধ করতে পারেন। অনেকগুলো ব্যাপার এটা ঘটাতে সাহায্য করতে পারে।
এগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বর্ধিত মূত্রত্যাগ থেকে জলীয় পদার্থ শূন্যতা এবং সঠিকভাবে আপনার শরীরের কাজ করার অক্ষমতা যেহেতু শক্তির প্রয়োজনের পক্ষে শর্করা ব্যবহার করতে এটা কম সক্ষম।
বেশি দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রা স্নায়ুগুলোকে আক্রমণ করতে পারে এবং নিস্তেজ রক্ত চলাচলের দিকে চালিত করে, যা শরীরের সেই সমস্ত জায়গায় যা ঘা এবং ক্ষতের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে ত্বক সারাতে প্রয়োজনীয় রক্ত পৌঁছানো কঠিন করে তোলে।
এটা মাসের পর মাস ধরে সেগুলোকে (ক্ষত) খোলা রাখতে এবং না সারার দিকে চালনা করতে পারে, যা এধরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেঃ
ডায়াবেটিসের উপসর্গগুলো কখনও কখনও আপনার দৃষ্টিকেও জড়িত করে।
রক্তে উচ্চ মাত্রার শর্করা আপনার টিস্যুগুলো থেকে জলীয় পদার্থ টেনে নেয়, যার মধ্যে আপনার চোখের লেন্সগুলিও আছে।
এটা আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
আপনার রক্তে অতিরিক্ত শর্করা স্নায়ুর ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আপনি আপনার হাতে এবং পায়ে শিহরণ (কম্পন) এবং অনুভূতির ক্ষতি, এবং সেই সাথে আপনার বাহু, হাত, পা এবং পায়ের পাতায় জ্বালা করার ব্যথা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন।
শতকরা 75 ভাগ মহিলার তাঁদের জীবনকালে অন্ততঃ একটা যোনিপথের সংক্রমণ হবে।
রক্তে উচ্চ শর্করা এবং যোনিপথে সংক্রমণের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ যোগ আছে।
অনেকগুলো জিনিস আছে যা আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যার মধ্যে ডায়াবেটিসের মতো অবস্থা সামিল।
এটা মোটামুটি হিসাব করা হয়েছে যে ডায়াবেটিস আছে এমন পুরুষদের প্রায় 35% থেকে 75% তাঁদের জীবনকালে কিছু মাত্রায় অন্ততঃ লিঙ্গ খাড়া হওয়ার ত্রুটিপূর্ণ ক্রিয়া বা পুরুষত্বহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বেশ কিছু অল্প-মেয়াদী এবং দীর্ঘ-মেয়াদী স্বাস্থ্যের জটিলতার দিকে চালনা করতে পারে, যার মধ্যে আছে হৃদরোগ, স্নায়ুর ক্ষতি, অঙ্গচ্ছেদ, এবং দৃষ্টির সমস্যা।
স্বাভাবিক ব্যক্তির চেয়ে ডায়াবেটিস হৃদরোগ বা স্ট্রোক-এর ঝুঁকি 3 থেকে 4 গুণ বেশি বাড়ায়। এটার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বুকে ব্যথাসহ (অ্যাঞ্জিনা-হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহের অল্পতা হেতু অল্প পরিশ্রমেই বুকে যে ব্যথা হয়) করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হৃদরোগের আক্রমণ, স্ট্রোক এবং ধমনীগুলি সঙ্কুচিত হওয়া (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস)।
অতিরিক্ত শর্করা ক্ষুদ্র রক্তবাহী নালীগুলি (ক্যাপিলারিজ) যা আপনার স্নায়ুগুলির পরিপোষণ করে, তার দেয়ালগুলো জখম করতে পারে, বিশেষ করে আপনার পাগুলোতে। এটা শিহরণ (কম্পন), অসাড়তা, জ্বালা বা ব্যথা যা সাধারণতঃ পায়ের আঙুল বা হাতের আঙুলের ডগা থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে উপরদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যদি চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয়, আপনি আক্রান্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোতে সমস্ত স্নায়ুর অনুভূতি হারাতে পারেন। স্নায়ুগুলো যা হজমের সাথে সম্বন্ধযুক্ত সেগুলোর ক্ষতি গা-গুলানো, বমি, উদরাময় অথবা কোষ্ঠবদ্ধতা জাতীয়সমস্যার কারণ হতে পারে। এটা পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ ক্রিয়ার দিকেও চালিত করতে পারে।
কিডনিগুলো লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র রক্তবাহী নালীর গুচ্ছ (গ্লোমেরুলাই) ধারণ করে যা আপনার রক্ত থেকে বর্জ্য পরিস্রুত করে। ডায়াবেটিস এই সূক্ষ্ণ পরিস্রাবণ (ফিল্টারিং) পদ্ধতির ক্ষতি করতে পারে। গুরুতর ক্ষতি কিডনির অকৃতকার্যতা অথবা অপরিবর্তনীয় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া কিডনির ব্যাধির দিকে চালিত করে, যার জন্য ডায়ালিসিস অথবা একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করার দরকার হতে পারে।
ডায়াবেটিস রেটিনা বা চোখের মণির পিছনের পর্দার রক্তবাহী নালীগুলির ক্ষতি করতে পারে (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি), যা সম্ভাব্য অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস অন্যান্য গুরুতর দৃষ্টি সংক্রান্ত অবস্থার ঝুঁকিও বাড়ায়, যেমন ক্যাটারাক্ট (ছানি) এবং গ্লুকোমা।
পায়ের পাতায় স্নায়ুর ক্ষতি অথবা পায়ের পাতার দিকে নগণ্য রক্ত প্রবাহ নানাধরণের পায়ের পাতার জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। যদি চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয়, কাটা এবং ফোসকা গুরুতর সংক্রমণ ঘটাতে পারে যা প্রায়ই খুব খারাপভাবে সারে। এইসমস্ত সংক্রমণগুলির জন্য শেষ পর্যন্ত সংক্রামিত জায়গার অঙ্গচ্ছেদ করার দরকার হতে পারে। ডায়াবেটিস অঙ্গচ্ছেদের সবচেয়ে প্রধান কারণ।
ডায়াবেটিস ত্বকের সমস্যাগুলির দিকে আপনাকে অধিকতর সহজ লক্ষ্যবস্তু করে তুলতে পারে, যার মধ্যে আছে জীবাণুঘটিত এবং ছত্রাক সংক্রমণ।
ডায়াবেটিসের পিল বা বড়ি রক্তে শর্করা এবং পরবর্তী জটিলতাগুলিকে কমাতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরণের ডায়াবেটিস পিল বা ট্যাবলেট আছে। সেগুলোর অনেকে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে।
ছু রোগীর একটার বেশি ডায়াবেটিস পিল (বড়ি) দরকার।
যখন আপনি আপনার খাবার এবং দৈনন্দিন ব্যায়াম সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তখন ডায়াবেটিস পিলগুলি সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
আপনার উচিতঃ
কখনও কখনও কোন ব্যক্তির অবস্থার উপরে নির্ভর করে, ডায়াবেটিস রোগের জটিলতা নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করার জন্য কারোর অন্য কিছু ওষুধের দরকার হতে পারেঃ
এটা আপনার শরীরের ইনসুলিনের সক্রিয়তা বাড়ায়, লিভারের (যকৃৎ) উপরে কাজ করে এবং এটা গ্লুকোজের সদ্ব্যবহার করতে শরীরকে সাহায্য করে
কিছু ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে
প্রথম দিকে, এটা পেট খারাপ এবং উদরাময়ের কারণ হতে পারে কিন্তু সাধারণতঃ 1 সপ্তাহ পরে অবস্থা ভালো হতে পারে, খাবারের সাথে নিলে ভালো হয় কখনও কখনও টয়লেটে এটার খালি খোল আপনি দেখতে পাবেন
আপনার গ্লুকোজের মাত্রার উপর নির্ভর করে প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়) থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তপ্রবাহে গ্লুকোজের অভাব) ঘটায় না এবং এটা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ
এগুলি প্যানক্রিয়াস-এর বেটা কোষগুলিকে আরও বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে বলে
কখনও কখনও এটা রক্তে কম শর্করা অথবা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তপ্রবাহে গ্লুকোজের অভাব) কারণ হতে পারে
এগুলো ইনসুলিনের মত ত্বকের (চামড়া) নীচের জায়গায় নেওয়া হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার উপরে নির্ভর করে প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে
এটা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
এটা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্ত প্রবাহে গ্লুকোজের অভাব) কারণ ঘটায় না কিন্তু কখনও কখনও আপনি বমি বমি বা গা-গুলানো ভাব অনুভব করতে পারেন
এটা শরীরের দ্বারা গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে আপনার মাংসপেশীতে
কখনও কখনও এটা ওজন বৃদ্ধি বা ফোলাভাবের কারণ হতে পারে
এগুলো হচ্ছে অল্প সময়ের জন্য কাজ করা ওষুধ এবং এটা প্যানক্রিয়াস দ্বারা ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে
এইসমস্ত ওষুধগুলো খাবারের সাথেই শুধু নেওয়া উচিত
কখনও কখনও এটা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ হতে পারে কিন্তু সালফোনিলুরিয়াস-এর তুলনায় এক্ষেত্রে ঝুঁকি কম
আপনার খাবার পরে অন্ত্র (ইন্টেস্টাইন) থেকে কার্বোহাইড্রেট শুষে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় এই পিলগুলো
খাবারের সাথে এটা নিতে হবে, যেহেতু এটা খাবারের উপরে সরাসরি কাজ করে। যদি আপনি কোন মিল বা খাবার বাদ দেন তাহলে এটা নেবেন না
প্রথম দিকে, এটা গ্যাস্ট্রিকে (পাকস্থলী সংক্রান্ত) কিছুটা জ্বালা বা খিঁচুনির কারণ হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে সাধারণতঃ যা উধাও হয়ে যায়
এগুলো শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে গ্লুকোজ বার করে দিয়ে কিডনির (মূত্রাশয়) উপরে কাজ করে মানুষকে কিছুটা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে কখনও কখনও এটা গোপন অঙ্গগুলোতে ছত্রাক (ফাঙ্গাল) সংক্রমণ ঘটানোর কারণ হতে পারে
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হচ্ছে একটা অবস্থা যা রক্তে অস্বাভাবিকভাবে কম গ্লুকোজের মাত্রা চিহ্নিত করে, সচরাচর 70 mg/dl-এর থেকেও কম।
এটা ঘটতে পারে যদি আপনিঃযাই হোক, আপনার রক্তে গ্লুকোজের ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলি, এবং কোন মাত্রা আপনার পক্ষে অত্যন্ত কম, সে সম্পর্কে আপনার স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
যখন আপনার রক্তে শর্করা কম থাকে
রথমে, দ্রুত-কাজ করে এমন কোনও কার্বোহাইড্রেট (শ্বেতসার) 15 গ্রাম খান বা পান করুন, যেমনঃ
যদি আপনার রক্তে কম শর্করার সমস্যা থাকে, সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাজ করে এমন 15 গ্রাম চিনিযুক্ত খাবার খান বা পান করুন, যেমনঃ
রাত্রিকালীন হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা রাতের সময়ের হাইপো (রক্তে স্বাভাবিকের থেকে কম মাত্রার গ্লুকোজ থাকা) সেইসমস্ত মানুষদের মধ্যে সচরাচর দেখা যায় যাঁরা ইনসুলিন নিয়ে তাঁদের ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করেন। কোনও হাইপো থেকে একবার জেগে উঠলে তবেই শুধুমাত্র উপসর্গগুলো সাধারণতঃ বোঝা যায়।
এগুলোর প্রকৃতির কারণে, কোন হাইপোর থেকে জেগে উঠে সাধারণতঃ রাতের সময় ঘটা হাইপো সম্পর্কে আপনি টের পাবেন।
সেজন্য মানুষ এমনকি সচেতনও হয়তো হন না যে তাঁদের রাতের সময়ে হাইপো হচ্ছে, সুতরাং কখন রাত্রিকালীন হাইপোগ্লাইসেমিয়া ঘটছে তার লক্ষণ এবং উপসর্গ চিহ্নিত করতে পারা প্রয়োজনীয়।
যেক্ষেত্রে রাত্রিকালীন হাইপোগ্লাইসেমিয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের মধ্যে, এটা কিন্তু সেইসমস্ত মানুষদের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে যাঁরা মুখ দিয়ে খাবার জন্য ডায়াবেটিস-প্রতিরোধক ওষুধ নিয়ে থাকেন।
কখনও কখনও রাত্রিকালীন হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঘটনা ঘটার সময় আপনি হয়তো জেগে উঠতে পারেন।
যাই হোক, যদি আপনি না জাগেন, নীচে উল্লিখিত লক্ষণগুলোর একটা বা দুটো লক্ষ্য করতে পারেন যে যখন আপনি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন তখন হয়তো হাইপোগ্লাইসেমিয়া ঘটে গেছে।
ডায়াবেটিস রয়েছে এমন শিশুদের মা-বাবাদের পক্ষে, রাত্রিকালীন হাইপোগ্লাইসেমিয়া বিশেষ করে দুশ্চিন্তাজনক হতে পারে।
ডায়াবেটিক শিশুদের মা-বাবারা তাঁদের বাচ্চারা ঘুমিয়ে থাকার সময় তাদের ঘাড় পরীক্ষা করতে চাইতে পারেন যদি তাঁরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন যে রাত্রিকালীন হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়তো ঘটছে।